সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য ডিজিটাল যোগাযোগের সুবাদে কাগজের প্রেমপত্র আর লেখা হয় না বহু মানুষেরই। তার পরেও কাগজের প্রেমপত্র বহু কারণে সেরা। যেমনঃ*ইমোটিকন সব পারে নাঅনলাইনে টাইপ করে কিছু কথাবার্তা ও ইমোটিকন বিনিময়? এটি কি আপনার হৃদয়ের কথা প্রকাশ করতে পারে?অনেকেরই তা হয় না। কারণ চ্যাট বারের এ সামান্য কথাবার্তা যেমন তাৎক্ষণিকভাবে মনে উদ্ভব হয় তেমন তাৎক্ষণিভাবে মন থেকে চলেও যায়। এছাড়া ইমোটিকন ব্যবহারও কোনো কাজের বিষয় নয়। কারণ বারবার একই ইমোটিকন ব্যবহার সেগুলোর আবেদন নষ্ট করেছে বহুদিন আগেই। তাই চ্যাট বার নয় বরং চিঠিই হতে পারে উপযুক্ত।*কাগজের সৃজনশীলতাস্মার্টফোনে রয়েছে অটোকারেক্ট অপশন। আর এতে আপনি কোনো বিষয় ইচ্ছেমতো টাইপ করলেও তাকে একটি নির্দিষ্ট ডিকশনারির আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবে তা। এভাবে আপনার সৃজনশীলতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর সৃজনশীলতা বাড়ানোর জন্য কাগজের তুলনা হয় না।*অন্যের নজরদারিআপনার ব্যক্তিগত চিঠি কোনো মানুষ কিংবা সার্ভারে স্থাপিত আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের হাতে পড়ার সম্ভাবনা থাকেই। আর এতে আপনার ব্যক্তিগত চিঠি আর ব্যক্তিগত থাকে না। নজরদারির অজুহাতে অন্য কেউ আপনার চিঠি পড়ে ফেলতে পারে।*গোপনীয়তাঅনলাইনে রয়েছে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার প্রবল আশঙ্কা। এছাড়া অনলাইনে কোনো বিষয় একবার তুলে ধরার পর তা প্রায়ই বহু বছর থেকে যায়। আপনি ইচ্ছে করলেই তা সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে পারবেন না। কিন্তুকাগজের চিঠি তেমনটা নয়। এটি আপনার ইচ্ছেমতো যেমন গোপন রাখতে পারবেন তেমন তা সম্পূর্ণ ধ্বংসও করতেপারবেন।*হাতের লেখাকাগজ ও কলমের ব্যবহারে হাতের লেখা মানুষের অন্যতম সৃজনশীল কাজ। আর এ কাজের কোনো ছিটেফোটাও থাকে না অনলাইনে। সেখানে কিবোর্ডে টাইপ করলেই আপনার কথা অন্যকে জানানো যায়। এতে হাতের স্পর্শ যেমন থাকে না তেমন ঘাটতি থাকতে পারে আন্তরিকতারও।
Next
« Prev Post
« Prev Post
Previous
Next Post »
Next Post »
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ConversionConversion EmoticonEmoticon